- অতিব দুঃখের সাথে আজ আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আমরা হচ্ছি একটি অকৃতজ্ঞ জাতি
*৫৭ জন দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর অফিসারবৃন্দকে সম্পূর্ণ অমানুষিক ও অমানবিক ভাবে হত্যা করা হলো পিলখানায় বহু বছর আগে কিন্তু অদ্যবধি তার বিচারকার্য সম্পূর্ণ হলো না।
গঠিত হলো না একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন ।
*তদানীন্তন সেনা নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানদের কোনপ্রকার বিচার হলো না এই হত্যাকাণ্ডকে প্রতিহত না করার জন্য।
*পক্ষান্তরে তদানীন্তন সরকার প্রধানের অবৈধ আদেশ মোতাবেক তার দপ্তরে বাহিনী প্রধান গন সারাদিন বসে বসে সময় ক্ষেপণ করে কর্তব্য পালন না করার জন্য কেন আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না?
*তদানীন্তন সেনাপ্রধানের নিকট অধীনস্থ কর্মকর্তা বৃন্দ বিডিআর এর এই হত্যাকাণ্ড প্রতিহত করার অনুমতি চাওয়া সত্ত্বেও সেনাপ্রধান তাদেরকে অনুমতি না দেওয়ার জন্য কেন তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? ,
*সেনাবাহিনীর যে সকল চাকরি রত কর্মকর্তা বৃন্দ তদানীন্তন সরকার প্রধানের কাছে এই নিশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছিল তাদেরকে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেনাপ্রধানের তরফ থেকে তার কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। এজন্য তদানীন্তন সেনাপ্রধান কে আইনের সম্মুখীন করতে হবে।
*পতিত সরকারের পতনের চার মাস অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অধ্যবধি বিডিআর এর হত্যাকাণ্ডের সত্যিকার বিচার শুরু না করার জন্য বর্তমান সরকারও দায়ী।
* দেশের কন্ঠ ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং সংবাদপত্রের সাংবাদিকবৃন্দ এ বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা না রাখার জন্য দায়ী।
* তথাকথিত ইন্টেলেকচুয়ালস সহ সকলকেই বিডিআর এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে জনমত সৃষ্টি না করার জন্য দায়ী।
*৫৭ সেনা কর্মকর্তা জাতির সন্তান, সকল দেশ প্রেমিক নাগরিকের দায়িত্ব এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা।
*যে ছাত্র জনতা দেশকে রাহু মুক্ত করেছে তাদের দায়িত্ব ছিল এ বিষয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখা.
* রাজনীতি বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরাও এই ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেন না।
*সামরিক বাহিনী আমাদের জাতির গর্ব, জাতির জীবনে এত বড় একটা কলঙ্কিত ঘটনা ঘটে গেল আমরা অদ্যবধি কোন বিচারই করতে পারলাম না। এর চাইতে বড় দুঃখের বিষয় কি হতে পারে বাঙালি জাতির জন্য।
*এই অমানুষিক হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদের পরিবারের সদস্য বৃন্দ বহু বছর যাবত দ্বারে দ্বারে ভিকারীর মত ঘুরে বেড়াচ্ছে।
অথচ এই বিচারের দায়-দায়িত্ব সরকারের এবং সামরিক বাহিনীর তথা জনগণের।
বিগত পতিত সরকার যেহেতু এই বিচার কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে, সে ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের উচিত ছিল ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই এই বিচার কাজ শুরু করা।
*কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় এত বড় একটা জাতীয় কলঙ্ক ঘটে গেল যার কোন বিচার এত বছরেও হলো না, শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যবৃন্দ প্রতিবছর কবরস্থানে গিয়ে ভিক্ষুকের মত সকলের কাছে বিচারের জন্য ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে ।
*রাওয়া ক্লাবের সদস্যবৃন্দও কোন কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেননি।
*এই হত্যাকাণ্ডের বিচারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব বর্তমান সরকারের এবং সামরিক বাহিনীর তথা সমগ্র জাতির।
*উল্লেখিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় এই কলঙ্ক দূর করার লক্ষ্যে অতিসত্বর একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করার জন্য আমি বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সামরিক বাহিনী ও জনগণের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
*আমরা যদি নিজ নিজ ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে আমাদের নামে পতিত সরকারের করা বিভিন্ন
মামলা সমূহ তুলে ফেলতে পারি, তাহলে জাতির গর্ব, দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যে দেশ প্রেমিক সামরিক বাহিনী রয়েছে, তাদের ৫৭ জন সদস্যদের এই অমানুষিক নিশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ কেন করতে পারবো না?
এ সকল ব্যর্থতা ও অপরাধ সমূহের জন্য অতিসত্বর একটি উচ্চপর্যায়ের কমিশন গঠন করার জন্য আমি মাননীয় সরকার প্রধান এবং মাননীয় প্রধান বিচারপতির নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
*একই সাথে যে সকল সেনাবাহিনীর অফিসার দেরকে সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তাদেরকে অতিসত্বর পুনরায় বকেয়া বেতন সহ চাকুরীতে পূর্ণ:বহালের দাবি জানাচ্ছি।