শনিবার (১৯ অক্টোবর) ১০ টার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিজ বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, ৪ থেকে ৫ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামপুরা থানার ওসি মোহাম্মদ আতাউর রহমান।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান বলেন, রামপুরার ওই বাসাটিতে ভাড়া থাকতেন সংগীতশিল্পী মনি কিশোর। এদিন বাড়িওয়ালা বাসাভাড়া নিতে গেলে মনি কিশোরের ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে লক করা দেখতে পান। পরবর্তীতে বাড়ির মালিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দিলে আমরা বিষয়টি জানতে পারি। এরপর সেখানে গেলে বাড়িটির অন্যদের সাহায্যে দরজা ভেঙে মনি কিশোরের পচা-গলা মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, তিনি বাসায় একাই থাকতেন। গত কয়েকদিন ধরে ঘর থেকে বের হননি। ধারণা করা হচ্ছে, ঘুমের মাঝে মারা গেছেন।
ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে বলে জানান রামপুরা থানার ওসি।
মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও, টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও গান গেয়েছেন অল্প। সিনেমায়ও তেমন গাননি। মূলত অডিওতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। কী ছিলে আমার’, ‘আমি মরে গেলে’, ‘ফুল ঝরে তারা ঝরে’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ও ‘আমি ঘরের খোঁজে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।