অনন্য কথা সাহিত্যিক ও দেশের বৃহত্তম সামাজিক সংগঠন প্রশিকার চেয়ারম্যান মিজ রোকেয়া ইসলাম এর ভেরিফাইড ফেইসবুক আইডিতে তিনি উল্লেখ করে বলেন, প্রতিমাসের শেষ বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় “বৃহস্পতির আড্ডা” এবার ইংরেজি মাসের ২৪ তারিখ এবং বৈশাখের ১১তারিখ ছিল শেষ বৃহস্পতিবার।
ডরপের নির্বাহী প্রধান এ এইচ এম নোমান এবং উপ প্রধান নির্বাহী যোবায়ের হাসানের সাথে এফ পি এবি সভাপতি মসয়ুদ মান্নানের মিটিং আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল বোঝার উপর শাকের আঁটির মত আমিও থাকি।
আড্ডার সময় সাড়ে পাঁচটা নির্ধারিত থাকলেও আমাকে পৌছাতে হয় চারটায়। আড্ডা কক্ষে কবিগণ উপস্থিত হয়ে আমন্ত্রণকারীকে না দেখে তার অযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়, ফোন দিয়ে ঝাড়ি দিতেই জানাই চারতলায় চারটায় এসেছি চারেচারে আট মিলিয়ে উপরে আসি।
“এসো হে বৈশাখ ” সুরে শুরু হয় আড্ডা।
সবার পরিচয় পর্বের পর একটা গোপন বিষয় প্রকাশ্যে আসে, সেটা হল বৃহস্পতির আড্ডার একান্ত স্বজন পৃষ্ঠপোষক যোবায়ের হাসানের জন্মদিন ছিল গতকাল।
একটা কেক যাবার সময় নিয়ে গিয়েছিলাম, সেটা কাটা হলো পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ হলো। এবার কবিতা পাঠের পালা। একে একে আসতে থাকেন দেশ বরেণ্য কবিগণ সাথে থাকে বিভিন্ন সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণগণ।
পুরো হল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে আড্ডায় জ্বলে ওঠে সমৃদ্ধির আলো। আলোকিত আড্ডায় প্রেম গিয়ে মেশে দ্রোহে আবার ফিরে আসে বৈশাখের স্মৃতিময় সময়ে।
কখনও তর্ক বেঁধে হাসিতে রুপ নেয়,পুরোপুরি আড্ডার মেজাজ জাগিয়ে ওঠে। আড্ডায় যুক্ত হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কবি সানাউল হক,
ড: আলী রেজা, টাংগাইল থেকে আড্ডার মাধুর্য সংগ্রহ করতে। সাভার থেকে রোকেয়া সুলতানা মুন্নী।
মেট্রোরেল অনেকখানি স্বস্তি দিয়েছে যাতায়াতে।
আড্ডার সময়ও কঠিনভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়, যাতে সবাই লাস্ট ট্রেন ধরে স্বস্তিতে ফিরতে পারে। কেউ অফিস শেষ করে ছুটে এসেছেন কেউ পত্রিকার সাহিত্য পাতা সাজিয়ে দ্রুত এসেছেন।
নতুন যারা এসেছে বৃহস্পতির আড্ডাকে ভালবেসে তাদের জন্য ভালবাসা। পরে যারা যুক্ত হয়েছে তারা প্রথমদিকে আনন্দধারা হারিয়েছে।
এবারের আড্ডায় প্রবীণ সুরে নবীন স্রোতধারা চোখে পরার মত, আশাজাগানিয়া বিষয়।
সবশেষে খিচুড়ি ডিম আলুর তরকারি সালাদ এবং সমাজকর্মী মুসতারি বেগম দুই বাটি আচারে স্বাদ বেড়ে গেছে বহুগুণ। ডরপের নিজস্ব দোকান থেকে শাড়ি লুঙ্গি চুড়ি বালা মালা কেনায় পারদর্শী কেউ কেউ।
লেখক কামরুল হাসান নোট নিয়েছে আমি স্মৃতি থেকে নাম লিখছি, কারো নাম বাদ গেলে জানালে যুক্ত করব। প্রত্যেককে সম্মান দিয়ে নাম লিখছি, এফপিএবি সভাপতি মসয়ুদ মান্নান ডরপ প্রতিষ্ঠাতা এ এইচ এম নোমান উপ প্রধান নির্বাহী যোবায়ের হাসান, কবি ফারুক মাহমুদ, কবি সানাউল হক, কবি মানিক মোহাম্মদ রাজ্জাক, কবি তৌফিক জহুর, কবি অরবিন্দ চক্রবর্তী, কবি নাহার আহমেদ, কবি লুৎফর চৌধুরী, কবি আবদুর রাজ্জাক, কবি ইমরোজ সোহেল, কবি তাহমিনা কোরাইশী, কথাসাহিত্যিক শাহানা শিমু, কবি কবিতা কসৃতা, কবি আলী রেজা, কবি চঞ্চল কুদ্দুস, কবি নিনা আহমেদ, কবি রেনু সুলতানা, কবি জয়েনা ইয়াসমিন, কবি ফিরোজ আহমেদ বাবু, আবৃত্তিকার আবদুস সালাম, কবি রাজিয়া রহমান, সৈয়দা শাহিদা সুলতানা, ইলোরা সমাজকর্মী, মুসতারি বেগম, পুষ্টিবিদ কামাল হোসেন, সঙ্গীত শিল্পী শওকত হোসেন, কবি সোরহাব সুমন, সাংবাদিক খান মোহাম্মদ সালেক, কবি সৌরভ জাহাঙ্গীরসহ মোট চল্লিশজন কবি কথাসাহিত্যিক বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শি উপস্থিত ছিলেন।
নূর কামরুন নাহারের প্রাণময় শিল্পিত সঞ্চালনা আয়োজন ভিন্ন মাত্রা যোগ হয় বরাবরই। আমার মত ক্ষুদ্র একজনের আমন্ত্রণে বরেণ্যজনের আন্তরিক গ্রহণ করে ঋণী করে বারবার। এমন ঋণ বাড়তে থাকুক।
Nazir Jueana Yeasmin