নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পাঁচগাঁও পাহাড়ি ঝর্ণা দেখতে গিয়ে শূন্যরেখায়ও যাচ্ছেন পর্যটকরা।
শ্রাবণের আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। কখনও কখনও পাহাড় হারিয়ে যাচ্ছে মেঘের আঁচলে। এমন মনমুগ্ধকর দৃশ্যই চোখে পড়ে কলমাকান্দা উপজেলার পাঁচগাঁও পাহাড়ে। পাহাড়-ঝর্ণা-সবুজের সমাহার ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে এখন রীতিমতো জনপ্রিয় পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে।
বর্ষায় এই অঞ্চলে পর্যটকের ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকে। পাহাড়ি ঝর্ণায় গোসল ও সীমান্তঘেঁষা চন্দ্রডিঙ্গা ছড়ার টানে ছুটে আসছেন ভ্রমণপিপাসু লোকজন। তবে প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে ভুল করে অনেকেই চলে যাচ্ছেন ভারত সীমান্তে। এমন দৃশ্য সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সোমেশ্বরী নদী, সাদামাটির পাহাড়, পাতলাবন, মহাদেব নদ, লেঙ্গুরা-প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা নেত্রকোনার সীমান্ত অঞ্চল। তবে সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে এই অঞ্চল। এক বছর ধরে বন্ধ পড়ে আছে চন্দ্রডিঙ্গা রিসোর্ট। ফলে ভ্রমণকারীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। পর্যাপ্ত রেস্ট হাউস, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় পর্যটনের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও উন্নয়ন এগোয়নি। পর্যটকদের দাবি, এসব স্থানের যথাযথ ব্যবস্থাপনা হলে দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণে রূপ নিতে পারে পাঁচগাঁও পাহাড় ও আশপাশের স্থানগুলো।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, ‘আমি যোগদানের পর থেকেই সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ও কলমাকান্দায় পর্যটন শিল্প বিকাশের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। বন্ধ রেস্ট হাউস দ্রুত চালু করা হবে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও পর্যটকদের জন্য সুবিধা বাড়ানো হবে।’