জেরুজালেমের উত্থান হবে এবং মদীনার পতন হবে / সুপার মুন সাথে কেয়ামতের আলামত আর ইয়াহুদিদের পরিকল্পনা সম্পর্কঃ
#রাসুল (সাঃ) ভবিষৎবাণী কক্ষনোই মিথ্যা হতে পারে না। আল্লাহর নবী (সাঃ) বলেছেন, “যখন জেরুজালেমের উত্থান হবে এবং মদীনার পতন হবে, তখন আসবে মহাযুদ্ধ । ইহা হবে এমন যুদ্ধ যাতে শতকরা ৯৯ জন মৃত্যুবরণ করবে”। [আহমদ ] রাসুল (সাঃ) এর ভবিষৎবাণী সত্য হতে চলেছে। মদিনার বিনাশ বলতে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে মদিনা অগুরুত্বপূর্ণ হওয়াকে বুঝানো হয়েছে। আর জেরুজালেমের উত্থান বলতে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে এই শহরের অবস্থানকে বুঝানো হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে রাসুল (সাঃ) এর ভবিষ্যৎবাণী করা সবগুলি শহর বা অঞ্চল রাজনৈতিক আলোচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করছে।
শাম, খোরাসান, ইয়ামেন, সিরিয়া দামস্ক হিন্দুস্তান পর “জেরুজালেম” গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শহর চলে এসেছে ইহা একটি ভয়ংকর আলামত। এই আলামতের পর ই সিরিয়া / ইরাক ইয়েমেন / তিন খলিফার আলামত গুলা দরগরায়। মক্কা মদিনার ফিতনা প্রকাশ সব জেন চোখের পলকে ঘটে যাচ্ছে। জেরুজালেমের উত্থান হবে এবং মদীনার পতন হবে এই আলামত ভয়ঙ্কর ভয়াবহ। অন্য আলামত গুলার শুররু পূর্বাভাস যা ২০১৭ সালে আমেরিকা ইস্রায়িল জেরুজালেম কে রাজধানি ঘোষণা পর থেকে শুরু হয়ে গেছে। আর এখন ২০১৯ এসে দেখা যায় কিভাবে কে একে চলে আসতেছে।
২০২৫ সালে সুপারমুন দেখা যাবে ৬ ও ৭ অক্টোবর রাতে, যা ‘হারভেস্ট সুপারমুন’ নামে পরিচিত এবং এটি স্বাভাবিকের চেয়ে বড় ও উজ্জ্বল হবে। এই মহাজাগতিক ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশ থেকে আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে স্পষ্ট দেখা যাবে। জেরুজালেম তাৎপর্যপূর্ণ জেরুজালেমকে কেন্দ্র করেই পৃথিবীর ইতিহাস আবর্তিত হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। জেরুজালেমকে বলা হয় পৃথিবীর পবিত্র নগরী বা পবিত্রভুমি যা আল্লাহ্ তায়ালা নিজেই বলে দিয়েছেন। আল্লাহ্ তায়ালা জেরুজালেমে এত সংখ্যক নবী ও রাসুল প্রেরণ করেছেন যে আর কোন শহরে বা নগরে বা কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে এত সংখ্যক নবী ও রাসুল প্রেরণ করেননি।
=>বনী ইসরাইলের প্রায় সকল নবীগণকেই আল্লাহ্ তায়ালা জেরুজালেম শহরে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ্ তায়ালা বনী ইসরাইলকেই (ইহুদিদের) এই জেরুজালেম নগরী বা পবিত্রভুমি দান করেছিলেন এবং শর্ত হিসেবে জুড়ে দিয়েছিলেন যে তারা আল্লাহর ইবাদত করবে, তাঁর আদেশ নিষেধ মেনে চলবে, নবী ও রাসুলগনের দেখানো পথে চলবে এবং তাঁদের বিরুদ্ধাচারন করবেনা, পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেনা। কিন্তু বনী ইসরাইলের ইহুদিরা বার বার আল্লাহর আদেশ লঙ্গন করেছে, পৃথিবীতে ফিতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টি করেছে ও আল্লাহর প্রেরিত নবী ও রাসুলগণকে অমান্য করেছে, এমনকি তাঁদেরকে হত্যা পর্যন্ত করেছে। ফলে আল্লাহও তাঁদেরকে তাঁদের কৃতকর্মের শাস্তিস্বরূপ এই পবিত্রভুমি থেকে বহিষ্কার করেছেন। যখন ইহুদিদেরকে তাঁদের কৃতকর্মের দরুন পবিত্রভুমি থেকে বহিষ্কার করা হয় তখন আল্লাহ্ তায়ালা বলে দেন যে ইহুদিরা আর পবিত্রভুমিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারবেনা যতক্ষন না ইয়াজুজ-মাজুজকে বন্ধনমুক্ত করে দেয়া হয় এবং ইয়াজুজ-মাজুজ তাঁদেরকে শেষবারের মতো পবিত্রভুমিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।
=> অর্থাৎ হযরত ইশা:(আঃ) যখন দজ্জাল কে হত্যা করবেন তার পর কিছু সময় পর আল্লাহ ইয়াজুজ-মাজুজকে বন্ধনমুক্ত করে দিবেন তখন ইয়াজুজ মাজুজ । পৃথিবীতে ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি করবে। ফলস্বরূপ আল্লাহ্ তায়ালাও তাঁদেরকে পবিত্রভুমি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করবেন এবং পৃথিবী থেকে ইহুদিদের অস্তিত্ব বিলীন করে দিবেন এবং ইহুদিদেরকে চিরতরে পবিত্রভুমি থেকে বহিস্কারের ও ধ্বংসের ঘটনাটি ঘটবে এক মুসলিম বাহিনীর হাতে। আল্লাহ তায়ালা অভিশপ্ত ইহুদিদের কয়েকবার জেরুজালেম থেকে বহিষ্কার করেছে। পবিত্র কোরআন থেকে জানা যায়, ইহুদীদের চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করার জন্য সুকৌশলি আল্লাহ তাদেরকে ইসরাইলে একত্রিত করেছেন।
#আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, “যে শহরকে আমি ধ্বংস করে দিয়েছি তাঁর অধিবাসীদের সেখানে ফিরে না আসা অবধারিত। যে পর্যন্ত না ইয়াজুজ ও মাজুজকে বন্ধনমুক্ত করে দেয়া হয় এবং তারা প্রত্যকে উচ্চ ভুমি থেকে দ্রুত ছুটে আসবে অর্থাৎ সব দিক থেকে ছড়িয়ে পড়বে।” সুরা আল আম্বিয়া-৯৫-৯৬। সুপার মুন বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন, ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বরের পর ২০৩৪ সালের নভেম্বর মাসে চাঁদ পৃথিবীর এতো কাছে আসবে। কিন্তু বছর না যেতেই বিজ্ঞানীদের ধারণা ভুল প্রমান করে আবার সুপার মুনের আগমন ৩ই ডিসেম্বর ২০১৬ আবার তখনই বিজ্ঞানিরা আবার বলে আগামি কয়েক মাসের ভিতর আর ২ টা সুপার মুন দেখা যাবে তার প্রমান আগামিকাল রাতে ৩১ জানুয়ারী ২০১৮ আবার দেখা যাবে এরপর এই বছর সুপার মুন হল, ২১ জানুয়ারী।
অনেকেই ভাবতে পারেন “সুপার মুনের” সাথে জেরুজালেম স্বীকৃতির কি সম্পর্ক? যারা “ইহুদিদের চক্রান্ত” বা ৪৩টি প্রটোকলের ব্যাপারে জানেন তাদের কাছে ইহা বিস্ময়কর কিছু নয়। অভিসপ্ত ইহুদিরা “সুপার মুনকে” তাদের মাসিহার আগমনের আলামত মনে করে। তারা বিশ্বাস করে “বড় চাঁদ” তাদের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। আর আমরা জানি ,কেয়ামতের ছোট আলামতের অন্যতম আলামত হচ্ছে চাঁদকে বড় দেখা যাওয়া। গত কয়েকবছর ধরে ঈদের চাদ লক্ষ্য করলে এই আলামতটি সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায়। আগে যেখানে ঈদের চাদ খালি চোখে দেখতে অত্যন্ত কষ্টকর হত সেখানে কয়েকবছর ধরে এই একদিনের চাঁদকে দুই-তিনদিনের বয়সী চাদ মনে হয়।
রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘‘কিয়ামত নিকটবর্তী হওয়ার আলামত হচ্ছে, চন্দ্র মোটা হয়ে উদিত হবে। বলা হবে এটি দুই দিনের চাঁদ’’। তাবরানী। ইমাম আলবানী হাদীছটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামে আস্ সাগীর- ৫৭৭৪।গত কিছুদিন আগে দৃশ্যমান হওয়া “সুপার মুন” এই বড় চাঁদের হাদিসটিকেই ইংগিত করে। আর আবার প্রত্যক্ষ করা গেল গত ২১ জানুয়ারিতেও। আগে যেখানে অনেক বছর পর পর “সুপার মুন” দেখা যেত এখন সেখানে বছরে কয়েকটি সুপার মুন দেখা যায়। এক একটা সুপার মুনের পিছনে ইহুদিদের থাকে অনেক পরিকল্পনা। তারা তাদের মসীহা আসার সমস্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করে ফেলছে।